You are currently viewing ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ারের সুযোগ, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্য

ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ারের সুযোগ, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্য

ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ারের সুযোগ, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যঃ

আমরা এখন আধুনিক বিশ্বে বসবাস করছি যেখানে প্রায় সবাই সবকিছুর জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অনলাইনে বিল পরিশোধ করা, সপ্তাহের জন্য বাজার করা, উপহারের জন্য কেনাকাটা, ভ্রমণ বা অন্য যে কোনও কিছুর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আবার প্রতিদিন অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং হোম কম্পিউটার ব্যবহার করেন।

ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা কোম্পানিগুলিকে সাইবার স্পেসের বিশ্বে তাদের ব্যবসায়ের প্রভাবকে প্রসারিত করার জন্য একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে। অধিকাংশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়ের প্রসার করে। এর মাধ্যমে আপনারা ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। আজ এর ক্যারিয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেট, মোবাইল ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন এবং অন্যান্য চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেওয়া। সহজ কথায় বলতে গেলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেওয়াই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং সব ধরণের মানুষের কাছেই খুব জনপ্রিয়। অসংখ্য নারী পুরুষ ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হচ্ছে-

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • পে পার ক্লিক
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।

এসব বিষয়গুলোতে দক্ষ হলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা বাড়ছে। প্রায় সব ধরণের প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছে। পুরনো বিজ্ঞাপন পদ্ধতি ছেড়ে তারা ব্যবসায়ের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাহায্য নিচ্ছে। এতে খরচও কমছে এবং দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ারের সুযোগঃ

আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা ক্যারিয়ার হিসাবে এর গ্রহণযোগ্য। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের শীর্ষ ক্যারিয়ারের সুযোগগুলো হচ্ছেঃ

  • ম্যানেজারঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, এসইও, এসইএম, বিজ্ঞাপন, ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচারের পরিকল্পনা করেন। তারা ডিজিটাল মার্কেট ও বিজ্ঞাপনগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং সর্বোচ্চ উপার্জন নিশ্চিত করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের অপটিমাইজেশন করে।

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন Specialist:

সার্চ ইঞ্জিনের উচ্চতর র‌্যাঙ্কিং অর্জনের জন্য কোনও ওয়েবসাইটকে optimize করতে একটি SEO Specialist এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ট্র্যাফিক পাবেন সে সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে। একটি ওয়েবসাইটকে ফলাফল পৃষ্ঠার প্রথমে দেখানোর জন্য, ওয়েবসাইটের উচ্চতর র‍্যাঙ্কিংয়ের জন্য এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য SEO Specialist কাজ করেন।

  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ

কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার কোনও প্রতিষ্ঠান বা একটি ব্র্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো পরিচালনা করে এবং ব্র্যান্ডের জন্য অনলাইন উপস্থিতি বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তে গ্রাহকের এংগেজমেন্ট বাড়াতে ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস বাড়াতে সাহায্য করে।

  • SEO কন্টেন্ট রাইটারঃ

SEO কন্টেন্ট রাইটার ট্রেন্ডিং এবং শিল্প-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করে। কন্টেন্টের এসইও insights, কীওয়ার্ড, audience, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, অ্যাডভার্টস এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা করে যাতে ওয়েবসাইটটির SEO করা যায়।

এগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটিংয়ের কাজ এবং ক্যারিয়ার হল:

  • ওয়েব ডিজাইনার
  • অ্যানালিটিক্স ম্যানেজার
  • CRM ম্যানেজার
  • ইমেইল মার্কেটিং ম্যানেজার
  • ই-কমার্স ম্যানেজার
  • ডিজিটাল এজেন্সি অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর।
  • প্রোফেশনাল ব্লগার
  • মোবাইল মার্কেটিং স্পেশালিষ্ট
  • ইমেইল মার্কেটার ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যঃ

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যগুলো হল –

  • বিক্রয় বৃদ্ধি করা।
  • কথোপকথনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও ঘনিষ্ঠ হওয়াঃ ডিজিটাল চ্যানেলগুলো কেবল দুর্দান্ত বিক্রয়ের জন্যই নয় বরং audience দের সাথে যোগাযোগ করা এবং তাদের ধরে রাখার জন্য কথোপকথন করা।
  • পরিষেবা উন্নত করাঃ সংস্থার ওয়েবসাইট এবং সামাজিক গ্রাহক পরিষেবায় গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর পেতে বা অভিযোগ জানার জন্য একটি ব্যবস্থা করা। যাতে করে তারা তাদের অভিযোগ করতে পারে। আপনার পরিষেবার মানের প্রতি মনোযোগ দেওয়া আপনার বিক্রয়, কথা বলা এবং গ্রাহকদের ধরে রাখা আপনার সক্ষমতার সমর্থনের মূল চাবিকাঠি। সুতরাং গ্রাহক পরিষেবায় আপনি কতটা ভাল তা মূল্যায়ন করতে আপনার গ্রাহকের সন্তুষ্টি পরিমাপ করা এবং সেই অনুসারে গ্রাহক পরিষেবা আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
  • খরচ বাঁচানো।

ডিজিটাল বিপণনে ক্যারিয়ারের জন্য কোন ধরণের ব্যক্তি মানানসই?

ডিজিটাল বিপণন একটি দ্রুত বর্ধমান এবং বিকশিত ক্যারিয়ারের উপায়। এই ক্যারিয়ারের সেরা ব্যক্তির গুণাবলী হচ্ছে –

উৎসাহীঃ উৎসাহী ব্যক্তির সহজাত কৌতূহল এবং তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে।

উদ্ভাবনীঃ এই ব্যক্তি নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ উপায় নিয়ে আসতে পারে।

দৃঢ় শ্রবণ দক্ষতাঃ সফল ডিজিটাল বিপণনকারীরা তাদের গ্রাহকরা কী বলেন সেটা ভালো করে শোনেন ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক এবং আনুগত্য তৈরি করার উদ্দেশ্যে তাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। গ্রাহক কোনো পণ্য বা পরিষেবা কেনার পর তারা সেটা পছন্দ করলে কী বলছেন তা বোঝা অপেক্ষাকৃত সহজ কারণ এটি তাদের রিভিউয়ের মাধ্যমে বোঝা যায়।

Goal oriented: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাফল্যের জন্য স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয়ই লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরী এবং সেই লক্ষ্যগুলি পূরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করা উচিত।

শেষকথাঃ যারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তারা সময়ের সাথে সাথে তাদের গ্রাহকরা কী চান তা তারা বোঝার চেষ্টা করে এবং তারা এটি তাদের কাছে ধারাবাহিকভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে।

 

Leave a Reply